দুরুদ পড়ার ফজিলত-durood porar fojilot

দুরুদ পড়ার ফজিলত

দুরুদ পড়ার অনেক ফজিলত বা গুরুত্ব রয়েছে। এটি পড়লে আল্লাহর রহমত লাভ হয়, গুনাহ মাফ হয়, এবং দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। দুরুদ পাঠ করা মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। 


দুরুদ পড়ার ফজিলত

দুরুদ শরীফ পড়ার ফজিলত (সালাওয়াত)

(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)


দুরুদের অর্থ:

"আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদ, ওয়া আলা আলে মুহাম্মাদ" অর্থ হলো, "হে আল্লাহ, মুহাম্মাদ (সাঃ) এবং তাঁর বংশধরদের উপর শান্তি বর্ষণ করুন।" এটি একটি প্রসিদ্ধ দরুদ শরিফ, যা মুসলিমরা প্রায়ই পাঠ করে থাকে। 

এই দরুদটির মাধ্যমে মূলত আল্লাহর কাছে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এবং তাঁর পরিবারের উপর শান্তি ও রহমত বর্ষণের জন্য দোয়া করা হয়। 

এখানে "আলা" শব্দের অর্থ হলো "উপর" বা "ওপর", "মুহাম্মাদ" অর্থ "মুহাম্মদ (সাঃ)", "ওয়া" অর্থ "এবং", এবং "আলে মুহাম্মাদ" অর্থ "মুহাম্মদের পরিবার" বা "বংশধর"। 

সুতরাং, এই দরুদটি মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত এবং নবীজির প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানানোর একটি মাধ্যম। 


দুরুদ পড়ার ফজিলতসমূহ

১. একবার দুরুদ = ১০ রহমত

হাদীস:

“যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দুরুদ পাঠ করে, আল্লাহ তাআলা তার উপর দশটি রহমত বর্ষণ করেন।”

 — (সহীহ মুসলিম)


২. গুনাহ মোচন হয় ও মর্যাদা বৃদ্ধি পায়

রাসূল ﷺ বলেন:

“যে ব্যক্তি একবার আমার উপর দরূদ পড়ে, আল্লাহ তার দশটি গোনাহ মাফ করেন, দশ নেকি দেন এবং মর্যাদা দশগুণ বৃদ্ধি করেন।”

— (নাসাঈ)


৩. কিয়ামতের দিন সুপারিশ লাভের পথ

হাদীস:

“কেয়ামতের দিন আমার সবচেয়ে নিকটবর্তী সেই ব্যক্তি হবে, যে ব্যক্তি সবচেয়ে বেশি দুরুদ পাঠ করেছে।”

— (তিরমিযী)


৪. দোয়া কবুল হওয়ার মাধ্যম

দোয়া কবুলের অন্যতম মাধ্যম:

শুরু ও শেষে দুরুদ পড়লে দোয়া কবুল হয়।


৫. ফরগিভনেস ও শান্তির কারণ

মন শান্ত হয়, দুনিয়ার ব্যস্ততা থেকে অন্তর পরিশুদ্ধ হয়।


কখন বেশি দুরুদ পড়া উচিত?

জুমার দিন

নামাজ শেষে

দুঃখ বা কষ্টের সময়

সকালে-সন্ধ্যায়

নিত্যকালীন জিকির হিসেবে


সংক্ষেপে:

আল্লাহর রহমত লাভ

গোনাহ মাফ

নবীজির সুপারিশ

দোয়া কবুল

আত্মার প্রশান্তি