জাযাল্লাহু আন্না মুহাম্মাদান মাহুয়া আহলুহু এর ফজিলত
জাযাল্লাহু আন্না মুহাম্মাদান মাহুয়া আহলুহু, একটি দোয়া, যার অর্থ হলো: "আল্লাহ তাআলা আমাদের পক্ষ থেকে মুহাম্মাদ (সা.)-কে এমন প্রতিদান দিন যা তাঁর প্রাপ্য।" এই দোয়াটি পাঠ করলে ৭০ জন ফেরেশতা ১০০০ দিন পর্যন্ত সাওয়াব লিখতে থাকেন, এমনটি হাদিসে বর্ণিত আছে।
এখানে এই দোয়াটির ফজিলত সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য দেওয়া হলো:
এটি একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ দোয়া, যা নবী (সা.)-এর জন্য আল্লাহ্র পক্ষ থেকে সর্বোত্তম প্রতিদানের আকাঙ্ক্ষা করে।
হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী, এই দোয়া পাঠ করলে সওয়াব লেখার জন্য ৭০ জন ফেরেশতা নিযুক্ত হন, যারা এক হাজার দিন পর্যন্ত এই নেকী লিখে চলেন।
"জাযাল্লাহু আন্না মুহাম্মাদান মা হুয়া আহলুহু" এই দোয়াটি পাঠ করার ফজিলত সম্পর্কে বিভিন্ন বর্ণনা পাওয়া যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, এই দোয়া পাঠ করলে ৭০ জন ফেরেশতা ১০০০ দিন পর্যন্ত নেকী লিখতে থাকেন। এই দোয়া মূলত নবী কারীম (সা.) এর পক্ষ থেকে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে উত্তম প্রতিদান চেয়ে করা হয়।
আরও কিছু বিষয়:
এই দোয়াটি মূলত দরূদ শরীফের অন্তর্ভুক্ত এবং এর মাধ্যমে আল্লাহর রাসূল (সা.)-এর প্রতি সম্মান ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।
এই দোয়া পাঠের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার কাছে রাসূল (সা.)-এর জন্য উত্তম প্রতিদানের প্রার্থনা করা হয়।
"জাযাল্লাহু আন্না মুহাম্মাদান মা-হুয়া আহলুহু" অর্থ হলো: "আল্লাহ তাআলা মুহাম্মদ (সা.)-কে তাঁর যোগ্য প্রতিদান দান করুন।" এই দোয়াটি মূলত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জন্য একটি উত্তম প্রতিদান চেয়ে মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা।
আরও বিশদভাবে, এই বাক্যের অর্থ হলো:
জাযাল্লাহু: আল্লাহ তাআলা আপনাকে প্রতিদান দিন।
আন্না: আমাদের পক্ষ থেকে।
মুহাম্মাদান: মুহাম্মদ (সা.)-কে।
মা হুয়া আহলুহু: তাঁর যোগ্য প্রতিদান।
সুতরাং, এই দোয়া পাঠের মাধ্যমে একজন মুসলিম রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে সর্বোত্তম প্রতিদানের জন্য দোয়া করেন, যা তাঁর প্রাপ্য।
জাযাল্লাহু আন্না মুহাম্মাদান মাহুয়া আহলুহু এর ফজিলত
"جَزَى اللهُ عَنَّا مُحَمَّدًا مَا هُوَ أَهْلُهُ"
উচ্চারণ:
জাযাল্লা-হু আন্না মুহাম্মাদান মা হুয়া আহলুহু
অর্থ:
“আল্লাহ আমাদের পক্ষ থেকে মুহাম্মদ (সা.)-কে তাঁর যথাযোগ্য প্রতিদান দিন।”
এই দোয়ার ফজিলত ও তাৎপর্য:
১. প্রিয় নবীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সর্বোত্তম দোয়া
এই দোয়া দ্বারা একজন মুসলিম স্বীকার করে নিচ্ছে—
নবী ﷺ আমাদের জন্য যা কিছু করেছেন, তার পূর্ণ প্রতিদান আমরা দিতে পারি না।
তাই আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি:
"হে আল্লাহ! আপনি তাঁর প্রাপ্য সর্বোচ্চ প্রতিদান দিন।"
২. সালাম ও দোয়ার চেয়েও বিস্তৃত দোয়া
আমরা সাধারণত বলি:
"সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম" – এটি নবীজির প্রতি শান্তি ও রহমতের দোয়া।
কিন্তু এই দোয়া "জাযাল্লাহু আন্না মুহাম্মাদান মাহুয়া আহলুহু" হল:
কৃতজ্ঞতার অনুভব
উম্মতের পক্ষ থেকে দোয়া
আল্লাহর কাছে তার প্রাপ্য মর্যাদা চাওয়া
৩. সাহাবিরা এ দোয়া করতেন
হাদীসে পাওয়া যায়, সাহাবায়ে কিরাম (রাযি.) এ দোয়া পড়তেন, যখন নবী ﷺ কিছু শিক্ষাত্মক কথা বলতেন বা তাদের জন্য দোয়া করতেন।
হাদীস:
"সাহাবিরা বলতেন: جَزَى اللّٰهُ عَنَّا نَبِيَّنَا مُحَمَّدًا مَا هُوَ أَهْلُهُ"
অর্থ: “আমাদের নবী মুহাম্মদের প্রতি আল্লাহ তাঁর প্রাপ্য অনুযায়ী প্রতিদান দিন।”
— (আল-মুজাম আল-কবীর, তাবারানি)
দোয়াটি কখন পড়া যেতে পারে?
নবীজি ﷺ এর নাম শোনার পর
সালাত ও সালামের পরে
যখন নবীজির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে চান
ঈমান পুনঃজাগরণের সময়
এই দোয়া কী শেখায়?
নবীজির প্রতি আমাদের সীমাহীন ঋণ স্বীকার
কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মার্জিত ইসলামি উপায়
দোয়ার মাধ্যমে নবীজিকে সম্মানিত করা
এই দোয়া পাঠ করা একটি সহজ আমল, যা প্রতিদিন অল্প সময়ে করা যায়।
দোয়াটি পাঠের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং নবী (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা প্রকাশের একটি মাধ্যম।
মোটকথা, এই দোয়াটি মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল, যা নিয়মিত পাঠ করা উচিত।
thistimebd Bangladesh Live online newsportal, education, Lifestyle, Health, Photography, gif image etc.
Make your own name or company name website | contact: thistimebd24@gmail.com
Copyright © 2020-2025 News Portal in Bangladesh - THISTIMEBD.COM. ALL Rights Reserved.