ফাইন্নাল্লা-হা গাফুরুর-রাহিম এর ফজিলত
ফাইন্নাল্লা-হা গাফুরুর-রাহিম একটি আরবি শব্দ যা "নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু" অর্থে ব্যবহৃত হয়। এটি একটি দোয়া বা উক্তি যা সাধারণত আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার সময় ব্যবহার করা হয়। এর অর্থ হল, "আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।"
"আস্তাগফিরুল্লাহ" শব্দের সাথে এই শব্দটি যুক্ত করে বলা হয়, "আস্তাগফিরুল্লাহ ইন্নাল্লাহা গাফুরুর রাহিম", যার অর্থ "আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।"
এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক দোয়া যা বান্দা তার গুনাহের জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার সময় ব্যবহার করে।
ফাইন্নাল্লা-হা গাফুরুর-রাহিম এর ফজিলত
فَإِنَّ اللّٰهَ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ
বাংলা উচ্চারণ:
"ফা-ইন্নাল্লাহা গাফূরুর রাহীম"
অর্থ:
“নিশ্চয়ই আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।”
এই আয়াতাংশের ফজিলত ও তাৎপর্য:
১. আল্লাহর ক্ষমা ও দয়ার ঘোষণা
এই বাক্যটি কুরআনে বহুবার এসেছে। এটি এমন একটি বাক্য যা একজন গোনাহগারের জন্য আশার আলো এবং তাওবার প্রেরণা।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা নিজেকে "গাফূর" (অত্যন্ত ক্ষমাশীল) ও "রাহীম" (পরম দয়ালু) বলেছেন।
২. পাপ থেকে ফিরে আসার উৎসাহ
পাপ করে হতাশ হওয়া নয়, বরং এই আয়াত আমাদের আল্লাহর দিকে ফিরে আসতে উৎসাহ দেয়।
কুরআনে বারবার এসেছে:
“তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না, নিশ্চয়ই আল্লাহ সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করে দেন।”
— (সূরা যুমার ৩৯:৫৩)
৩. দোয়া ও ইস্তিগফারের সময় পাঠ করলে আল্লাহর রহমতের দরজা খুলে যায়
এই আয়াতাংশটি ইস্তিগফারের পর বা দোয়ার শেষে পড়া যায়:
উদাহরণস্বরূপ:
“আস্তাগফিরুল্লাহ, ইন্নাল্লাহ গাফূরুর রাহিম” — এতে দোয়ার আবেদন আরও হৃদয়গ্রাহী হয়।
৪. মানসিক শান্তি ও সান্ত্বনার আয়াত
যখন কেউ ভুল করে, গোনাহ করে, কিংবা মানসিক কষ্টে থাকে, তখন এই আয়াত মনে করিয়ে দেয়:
আল্লাহ ক্ষমা করবেন, তিনি রাহীম।
কোথায়-কোথায় এসেছে?
এই বাক্যটি কুরআনে বহুবার এসেছে। যেমন:
সূরা আল-বাকারাহ: ১৮২, ১৯৯
সূরা নিসা: ২৫
সূরা হুজরাত: ৫
সূরা নূর: ৫
...এবং আরও বহু জায়গায়
আমাদের জন্য শিক্ষণীয়:
পাপ করলেও আল্লাহর দরজা খোলা
কখনও হতোদ্যম হওয়া যাবে না
তাঁর ক্ষমা ও দয়ার উপর আস্থা রাখা ঈমানের অংশ
রিজিক বৃদ্ধির আমল
নিচে একটি ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দুপুরে (যোহরের সময়) টাকা বা রিজিক বৃদ্ধির নিয়তে পড়া যেতে পারে এমন একটি আমলের উদাহরণ দেওয়া হলো:
দুপুরে রিজিক বৃদ্ধির আমল (ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে):
সময়:
যোহরের নামাজের পর (দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে, সময় ভেদে পরিবর্তিত)
আমল:
১. যোহরের নামাজ মনোযোগ সহকারে আদায় করুন।
২. নামাজ শেষে ৩৩ বার করে:
সুবহানাল্লাহ
আলহামদুলিল্লাহ
আল্লাহু আকবার
এরপর নিচের দোআ বা জিকির ৭০ বার পাঠ করুন:
"ইয়া রজ্জাকু, ইরজুকনি বিগাইরি হিসাব।"
অর্থ: হে রিজিক দাতা, আমাকে হিসাব ছাড়াই রিজিক দান করুন।
এই আমল প্রতিদিন নিয়ম করে করলে, আল্লাহর রহমতে রিজিকে বরকত আসে বলে হাদিস ও আলেমদের ব্যাখ্যা আছে।
দুপুরে আমলটি করুন
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম (২১ বার)
ফাইন্নাল্লা-হা গাফুরুর-রাহিম (১০৩বার)
গুরুত্বপূর্ণ:
এই আমলটি কোনো জাদু নয় বা গ্যারান্টিযুক্ত ধরনের প্রতিশ্রুতি নয়। এটি বিশ্বাস, ধৈর্য, ও নিয়মিত ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর ওপর ভরসার একটি চর্চা।
প্রকৃত রিজিক আসে পরিশ্রম + দোআ + তাকওয়া এই তিনের সমন্বয়ে।
উপসংহার:
সঠিক নিয়ত, পরিশ্রম, এবং ধারাবাহিক আমল-ই আল্লাহর পক্ষ থেকে বরকত ও রিজিক আনতে পারে। দুপুরের সময় পবিত্রতা, দোআ ও জিকিরের মাধ্যমে অন্তরকে প্রশান্ত ও দুনিয়ার প্রয়োজন পূরণের জন্য সাহায্য প্রার্থনা করাই সর্বোত্তম।
thistimebd Bangladesh Live online newsportal, education, Lifestyle, Health, Photography, gif image etc.
Make your own name or company name website | contact: thistimebd24@gmail.com
Copyright © 2020-2025 News Portal in Bangladesh - THISTIMEBD.COM. ALL Rights Reserved.