computer ki-কম্পিউটার কী? কম্পিউটার কত প্রকার ও কী কী?

কম্পিউটার কী?

কম্পিউটার একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস (Electronic Device) যা ডেটা গ্রহণ করে, তা প্রক্রিয়াজাত (Processing) করে এবং ফলাফল প্রদান করে। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে গণনা করতে এবং বিভিন্ন প্রোগ্রাম চালাতে সক্ষম। কম্পিউটার মানুষের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে এবং এটি অত্যন্ত দ্রুত ও নির্ভুলভাবে বিশ্লেষণ করতে পারে।

কম্পিউটার হল একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র যা ডেটা প্রসেস করতে, সংরক্ষণ করতে এবং পুনরুদ্ধার করতে পারে। এটি বিভিন্ন নির্দেশাবলী অনুসরণ করে কাজ করে, যা প্রোগ্রামিং ভাষায় লেখা হয়। সাধারণত, একটি কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার এই দুটি প্রধান অংশে গঠিত। 

আরও বিস্তারিতভাবে: 

একটি কম্পিউটার ইনপুট ডিভাইস (যেমন কিবোর্ড, মাউস) থেকে ডেটা গ্রহণ করে। 

তারপর এটি প্রসেসিং ইউনিটে (CPU) ডেটা প্রক্রিয়া করে। 

এরপর, কম্পিউটার আউটপুট ডিভাইস (যেমন মনিটর, প্রিন্টার) এর মাধ্যমে ফলাফল দেখায়। 

কম্পিউটার বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারে, যেমন - গাণিতিক গণনা, ডেটা এন্ট্রি, শব্দ প্রক্রিয়াকরণ, গ্রাফিক্স ডিজাইন ইত্যাদি। 

এটি হার্ডওয়্যার (শারীরিক যন্ত্রাংশ, যেমন মাদারবোর্ড, প্রসেসর, মেমরি) এবং সফটওয়্যার (অপারেটিং সিস্টেম, অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম) এর সমন্বয়ে গঠিত। 


সংক্ষেপে বলা যায়:

"কম্পিউটার হল একটি প্রোগ্রামযোগ্য ইলেকট্রনিক যন্ত্র, যা ইনপুট গ্রহণ করে, প্রসেস করে এবং আউটপুট প্রদান করে।"


কম্পিউটারের প্রকারভেদ (Types of Computer):

কম্পিউটার বিভিন্ন ভিত্তিতে বিভিন্নভাবে ভাগ করা যায়। নিচে প্রধান শ্রেণিবিন্যাসগুলো দেওয়া হলো:


১. আকার ও ক্ষমতার ভিত্তিতে (By Size and Power):

সুপার কম্পিউটার (Super Computer):

বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগামী এবং ক্ষমতাধর কম্পিউটার

বৈজ্ঞানিক গবেষণা, আবহাওয়া পূর্বাভাস, পারমাণবিক বিশ্লেষণে ব্যবহৃত

যেমন: Fugaku, Summit


মেইনফ্রেম কম্পিউটার (Mainframe Computer):

বিশাল তথ্য প্রক্রিয়াজাত করার জন্য

বড় বড় সংস্থা বা ব্যাংকে ব্যবহৃত হয়

বহু ব্যবহারকারী একসাথে কাজ করতে পারে


মিনিকম্পিউটার (Minicomputer):

মেইনফ্রেমের তুলনায় ছোট, তবে শক্তিশালী

ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত


পার্সোনাল কম্পিউটার (Personal Computer - PC):

ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য

যেমন: ডেস্কটপ, ল্যাপটপ


ওয়ার্কস্টেশন (Workstation):

হাই-পারফরম্যান্স ডেস্কটপ

গ্রাফিক ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, ইঞ্জিনিয়ারিং সফটওয়্যারে ব্যবহৃত


হ্যান্ডহেল্ড কম্পিউটার / মোবাইল ডিভাইস:

স্মার্টফোন, ট্যাবলেট ইত্যাদি


২. কার্যপদ্ধতির ভিত্তিতে (By Functionality):

অ্যানালগ কম্পিউটার (Analog Computer):

চলমান ডেটা বা সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে কাজ করে

যেমন: তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র, বিদ্যুৎ প্রবাহ মাপক


ডিজিটাল কম্পিউটার (Digital Computer):

0 ও 1 ভিত্তিক বিটে কাজ করে

সব সাধারণ কম্পিউটার ডিজিটাল

যেমন: ল্যাপটপ, ডেস্কটপ


হাইব্রিড কম্পিউটার (Hybrid Computer):

অ্যানালগ ও ডিজিটালের সংমিশ্রণ

হাসপাতালের ICU মনিটরিং সিস্টেমে ব্যবহৃত


আরো বিস্তারিত সহজভাবে----

কম্পিউটার প্রধানত তিন প্রকার: এনালগ, ডিজিটাল এবং হাইব্রিড। এছাড়াও, আকার ও ব্যবহারের ভিত্তিতে কম্পিউটারকে সুপার কম্পিউটার, মেইনফ্রেম কম্পিউটার, মিনি কম্পিউটার, মাইক্রো কম্পিউটার, পার্সোনাল কম্পিউটার, সার্ভার, ওয়ার্কস্টেশন, এমবেডেড কম্পিউটার ইত্যাদি ভাগে ভাগ করা যায়। 

1. এনালগ কম্পিউটার: এই কম্পিউটারগুলো ক্রমাগত পরিবর্তনশীল ডেটা যেমন- তাপমাত্রা, চাপ ইত্যাদি পরিমাপ করতে ব্যবহৃত হয়। 

2. ডিজিটাল কম্পিউটার: এই কম্পিউটারগুলো সংখ্যা (0 এবং 1) ব্যবহার করে ডেটা প্রক্রিয়াকরণ করে। এটি বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত কম্পিউটার। 

3. হাইব্রিড কম্পিউটার: এটি এনালগ এবং ডিজিটাল কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্যগুলির সমন্বয়ে গঠিত। এটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত হয়। 


এছাড়াও, কম্পিউটারের আকার ও ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে আরও কয়েকটি প্রকারভেদ রয়েছে: 

সুপার কম্পিউটার: এটি সবচেয়ে শক্তিশালী এবং দ্রুতগতির কম্পিউটার, যা জটিল বৈজ্ঞানিক গণনা এবং সিমুলেশনের জন্য ব্যবহৃত হয়। 

মেইনফ্রেম কম্পিউটার: বড় আকারের ডেটা প্রসেসিং এবং এন্টারপ্রাইজ লেভেলের অ্যাপ্লিকেশনগুলির জন্য ব্যবহৃত হয়। 

মিনি কম্পিউটার: মেইনফ্রেম কম্পিউটারের চেয়ে ছোট এবং মাঝারি আকারের ডেটা প্রসেসিং এর জন্য ব্যবহৃত হয়। 

মাইক্রো কম্পিউটার: এটি পার্সোনাল কম্পিউটার বা পিসি নামেও পরিচিত। ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, স্মার্টফোন ইত্যাদি এর অন্তর্ভুক্ত। 

সার্ভার: নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অন্যান্য কম্পিউটারকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য সার্ভার ব্যবহার করা হয়। 

ওয়ার্কস্টেশন: উন্নত গ্রাফিক্স এবং প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যা CAD/CAM এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনের মতো কাজে ব্যবহৃত হয়। 

এমবেডেড কম্পিউটার: ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং যন্ত্রপাতি যেমন- ঘড়ি, গাড়ি, মাইক্রোওয়েভ ওভেনে ব্যবহৃত হয়।