2025-06-30

সকালে ঘুমানোর ১০টি ক্ষতি

আপনি যদি সকালে ঘুমান (ভোরে অথবা ৬-৯ টার মধ্যে) এবং রাতে জাগেন না অথবা অসুস্থ থাকেন, তাহলে নিয়মিত সকালে ঘুমানোর অভ্যাস শরীর ও মনের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

এখানে বলা হচ্ছে —

সকালের ঘুমের ১০টি ক্ষতিকর প্রভাব:

১. মস্তিষ্কে ধীরগতি এবং মানসিক অবসাদ

সকালে ঘুমানোর ফলে সারাদিন ভারী বোধ হতে পারে

মনোযোগ এবং স্মৃতিশক্তি হ্রাস পেতে পারে

Brain fog অনুভূত হয়

২. জৈবিক ঘড়ি নষ্ট হয়ে যায়

শরীরের স্বাভাবিক ছন্দ অনুসারে, মানুষের দিনের বেলা জেগে থাকা উচিত এবং রাতে ঘুমানো উচিত

সকালে ঘুমানোর ফলে দেরি করে জেগে থাকার অভ্যাস তৈরি হয়, যা অনিদ্রা এবং বিষণ্ণতার ঝুঁকি বাড়ায়

৩. হরমোনের ভারসাম্য ব্যাহত হয়

সকালে সূর্যের আলোয় ঘুম থেকে ওঠা সেরোটোনিন এবং মেলাটোনিন সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে

সকালে না ঘুমানোর ফলে হরমোনের ভারসাম্য ব্যাহত হতে পারে — যার ফলে হতাশা, বিরক্তি বা উদ্বেগ বৃদ্ধি পায়

৪. ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে

সকালে ঘুমিয়ে দিন শুরু দেরিতে করলে শরীর কম ক্যালরি খরচ করে

নাস্তা না করা বিপাককে ধীর করে দেয় — যার ফলে ওজন বৃদ্ধি পায়

৫. ডায়াবেটিসের ঝুঁকি এবং হৃদরোগ বৃদ্ধি পায়

নিয়মিত সকালে ঘুমালে এবং রাতে ঘুম থেকে উঠলে ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়

দীর্ঘমেয়াদে টাইপ-২ ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়

৬. উৎপাদনশীলতা এবং মানসিক স্বাস্থ্য হ্রাস পায়

সকালের আলো এবং পরিবেশ মস্তিষ্কে নতুন শক্তি তৈরি করে

সকালে ঘুমালে দিন দেরিতে শুরু হয়, কাজ জমে এবং মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়

কাজে বা পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়া কঠিন হতে পারে।

৭. হৃদরোগের ঝুঁকি

যারা পর্যাপ্ত ঘুম পান না বা যাদের ঘুমের সময়সূচী অনিয়মিত তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি

একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা দিনে ৬ ঘন্টার কম ঘুমান তাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়

৮. ঘুম চক্রের ব্যাঘাত

প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানো এবং ঘুম থেকে ওঠা শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ

সকালে ঘুমানোর ফলে এই স্বাভাবিক ঘুম চক্র ব্যাহত হয়, যা শরীরের কার্যকারিতা হ্রাস করে। ফলস্বরূপ, শরীর ক্লান্ত বোধ করতে পারে

৯. মানসিক চাপ বৃদ্ধি

পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া বা অনিয়মিত ঘুমের সময়সূচী না থাকা মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ বাড়াতে পারে।

সকালে ঘুমানোর ফলে শরীরের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে, যা মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

১০. হজমের সমস্যা

সকালে ঘুমালে হজম প্রক্রিয়াও ঠিকমতো কাজ করে না।

রাতে না খেয়ে ঘুমানো বা সকালে দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে।

কখন ব্যতিক্রম?

আপনি যদি রাতের শিফটে কাজ করেন বা রাতে পড়াশোনা করেন, তাহলে সকালে ঘুমানো বাধ্যতামূলক — তবে আপনার ঘর অন্ধকার করে শান্ত পরিবেশে ঘুমানো উচিত।

ভালো ঘুমের জন্য করণীয়:

রাত ১০-১১ টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন

ঘুমানোর আগে স্ক্রিন দূরে রাখুন

একটি নির্দিষ্ট ঘুম এবং ঘুম থেকে ওঠার সময় বজায় রাখুন

সংক্ষেপে

সকালে ঘুমানোর সাথে কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকি জড়িত। এর মধ্যে প্রধান কয়েকটি হল: হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি, ওজন বৃদ্ধি, ঘুমের চক্রের ব্যাঘাত, মানসিক চাপ বৃদ্ধি, হজমের সমস্যা এবং মনোযোগের অভাব। সকালের সূর্যালোক এবং তাজা বাতাস শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি সকালে ঘুমান, তাহলে আপনি এই সুবিধাগুলি থেকে বঞ্চিত হন।