universe age bangla-মহাবিশ্বের বয়স কত?

মহাবিশ্বের বয়স কত?

মহাবিশ্বের বর্তমান বয়স প্রায় ১৩.৮ বিলিয়ন বছর (১৩৮০ কোটি বছর)।  এই বয়স বিগ ব্যাং নামের বিশাল বিস্ফোরণের মাধ্যমে মহাবিশ্বের সৃষ্টির সময় থেকে গণনা করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বের বয়স নির্ধারণের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন, যার মধ্যে একটি হলো মহাজাগতিক পটভূমি বিকিরণ (cosmic microwave background radiation)।  

আরও কিছু তথ্য:

বিগ ব্যাং তত্ত্ব অনুসারে, মহাবিশ্ব একটি অত্যন্ত ঘন এবং উত্তপ্ত অবস্থা থেকে সম্প্রসারিত হয়ে আজকের রূপে এসেছে। 

মহাবিশ্বের বর্তমান দৃশ্যমান অংশের ব্যাস প্রায় ৯,৩০০ কোটি আলোকবর্ষ। 

বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বের বয়স নির্ধারণের জন্য বিভিন্ন ধরণের পর্যবেক্ষণ এবং গণনা ব্যবহার করেন, যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরণের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বিশ্লেষণ করা। 

মহাবিশ্বের বয়স প্রায় ১৩.৮ বিলিয়ন বছর (১৩৮০ কোটি বছর)।

এটি বিজ্ঞানীরা নির্ধারণ করেছেন বিভিন্ন মহাকাশীয় পর্যবেক্ষণ ও গণনার মাধ্যমে।


বিজ্ঞানীরা কীভাবে এটি জানলেন?

মহাবিশ্বের বয়স নির্ধারণ করতে বিজ্ঞানীরা কয়েকটি পদ্ধতি ব্যবহার করেন:

১. বিগ ব্যাং তত্ত্ব (Big Bang Theory)

বিজ্ঞানীদের মতে, মহাবিশ্বের শুরু হয়েছিল একটি বিশাল বিস্ফোরণের মাধ্যমে — যাকে বলে বিগ ব্যাং।

এই ঘটনার পর থেকেই সময় শুরু হয়েছে।


২. গ্যালাক্সির দূরত্ব ও প্রসারণ (Universe Expansion)

বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে গ্যালাক্সিগুলো ধীরে ধীরে আমাদের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।

এই দূরে সরে যাওয়ার হার মেপে তারা বুঝেছেন, কত দিন আগে এ বিস্তার শুরু হয়েছিল — এভাবেই ১৩.৮ বিলিয়ন বছর হিসাব করা হয়।


৩. কসমিক মাইক্রোওয়েভ ব্যাকগ্রাউন্ড (CMB)

মহাবিশ্বের প্রাচীন আলো (CMB) বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেছেন। এটি হচ্ছে বিগ ব্যাং-এর পর বের হওয়া বিকিরণ।

এই বিকিরণের বিশ্লেষণ করেও বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বের বয়স নির্ধারণ করেছেন।


সংক্ষেপে:

মহাবিশ্বের বয়স ≈ ১৩.৮ বিলিয়ন বছর

শুরু: বিগ ব্যাং

এখনও প্রসারিত হচ্ছে (ফেলছে)


তথ্য উৎস: গ্যালাক্সি পর্যবেক্ষণ, বিকিরণ, টেলিস্কোপ


পৃথিবীর বয়স কত?

পৃথিবীর বয়স প্রায় ৪৫৪ ± ৫ কোটি বছর (৪.৫৪ × ১০৯ বছর ± ১%)। এই বয়স উল্কার রেডিওমেট্রিক বয়স নির্ণয় থেকে প্রাপ্ত এবং প্রাপ্ত সবচেয়ে প্রাচীন পার্থিব ও চাঁদের পাথরের রেডিওমেট্রিক বয়সের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।


বর্তমানে চাঁদের বয়স কত?

চাঁদের বয়স প্রায় ৩৯০০ মিলিয়ন বছর। চাঁদের ব্যাস ৩,৪৭৪.২০৬ কিলোমিটার (২,১৫৯ মাইল) যা পৃথিবীর ব্যাসের এক-চতুর্থাংশের চেয়ে সামান্য বেশি। ওজন ৭.২৩×১০^১৯ (অর্থাৎ ১০ এর ডানে ১৯টি শূণ্য বসিয়ে তাকে ৭.২৩ দিয়ে গুণ করলে যা হয়)। ঘনত্ব জলের চেয়ে ৩,৩৪২ ভাগ ঘন।


সূর্যের বয়স কত?

সূর্য প্রায় 4.6 বিলিয়ন বছর আগে একটি বিশাল আণবিক মেঘের অংশের পতন থেকে গঠিত হয়েছিল যা বেশিরভাগ হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম নিয়ে গঠিত এবং এটি সম্ভবত অন্যান্য অনেক নক্ষত্রের জন্ম দিয়েছে। এই বয়সটি নাক্ষত্রিক বিবর্তনের কম্পিউটার মডেল ব্যবহার করে এবং নিউক্লিওকসমোক্রোনোলজির মাধ্যমে অনুমান করা হয়।


সূর্য পৃথিবী থেকে কত বড়?

সূর্য পৃথিবী থেকে প্রায় ১৩ লক্ষ গুণ বড়। এটি পৃথিবীর চেয়ে প্রায় ১০৯ গুণ প্রশস্ত এবং এর আয়তন পৃথিবীর চেয়ে প্রায় ১৩ লক্ষ গুণ বেশি। 

সূর্য, আমাদের সৌরজগতের কেন্দ্রে অবস্থিত একটি তারা, যা প্রধানত প্লাজমা (আয়নিত পদার্থ) দিয়ে গঠিত এবং এর চারপাশে একটি চৌম্বক ক্ষেত্র রয়েছে। সূর্যের ব্যাস প্রায় ১৩ লক্ষ ৯০ হাজার কিলোমিটার, যা পৃথিবীর ব্যাসের ১০৯ গুণ। এছাড়াও, এর ভর প্রায় ২×১০^৩০ কিলোগ্রাম, যা পৃথিবীর ভরের প্রায় ৩ লক্ষ ৩০ হাজার গুণ। সৌরজগতের মোট ভরের ৯৯.৮৬% ই সূর্যের দখলে। 

অন্যদিকে, পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে এবং সূর্য থেকে এর গড় দূরত্ব প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার (৯৩ মিলিয়ন মাইল)। এই দূরত্বকে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা একটি একক (AU) হিসাবেও গণনা করেন, যা সূর্য থেকে অন্যান্য গ্রহ, নক্ষত্র এবং মহাকাশীয় বস্তুর দূরত্বের তুলনা করার জন্য একটি আদর্শ মান। 


চাঁদ পৃথিবী থেকে কত গুন বড়

চাঁদ পৃথিবীর প্রায় 1/4 (এক চতুর্থাংশ) আকারের এবং এর ভর পৃথিবীর প্রায় 1/80 (এক আশি ভাগ) ভাগ। Britannica অনুসারে। 

চাঁদের ব্যাস প্রায় 3,478 কিলোমিটার, যা পৃথিবীর ব্যাসের প্রায় এক-চতুর্থাংশ। চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ এবং সৌরজগতের পঞ্চম বৃহত্তম উপগ্রহ। 

চাঁদের নিজস্ব আলো নেই, এটি সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে যা আমরা রাতে দেখতে পাই। 


চাঁদের আয়তন কত

চাঁদের আয়তন ২.১৯৫৮ x ১০¹⁰ কিমি³ (দশ কিউবিক কিলোমিটার)। এটি পৃথিবীর আয়তনের প্রায় ০.০২০ গুণ। চাঁদের মেরু ব্যাসার্ধ ১,৭৩৬.০ কিমি। 

আরও কিছু তথ্য: 

চাঁদের পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল ৩.৭৯৩ x ১০⁷ কিমি²।

চাঁদের ভর ৭.৩৪২ x ১০²² কেজি।

চাঁদ পৃথিবীর চেয়ে ছোট এবং সৌরজগতের বৃহত্তম বামন গ্রহ প্লুটোর চেয়েও বড়।

চাঁদ তার প্রাথমিক গ্রহের তুলনায় সৌরজগতের বৃহত্তম প্রাকৃতিক উপগ্রহ।


চাঁদের আরেক নাম কি?

চাঁদের আরেকটি নাম হলো চন্দ্র। এছাড়াও, এটিকে শশী, শশধর, ইন্দু, নিশাকর ইত্যাদি নামেও ডাকা হয়। 

চাঁদের আরও কিছু নাম নিচে দেওয়া হলো: 

শশধর, শশাঙ্ক, শশী, চন্দ্রিমা, ইন্দু, নিশাকর, লুনা (লাতিন ভাষায়). 

চাঁদের ইংরেজি নাম "Moon" এবং মাসের ইংরেজি শব্দ "month" দুটোই চাঁদের গ্রিক শব্দ "Mene" থেকে এসেছে।