বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এর ফজিলত-bismillahir rahmanir rahim bangla

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এর ফজিলত

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম একটি আরবি শব্দগুচ্ছ, যার অর্থ: দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহর নামে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক বাক্য যা সাধারণত কোন কাজ শুরু করার আগে বলা হয়ে থাকে। এটি পবিত্র কোরআনের ১১৪টি সূরার মধ্যে সূরা আত-তাওবাহ ছাড়া বাকি ১১৩টি সূরার শুরুতে রয়েছে। 

"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম" (আরবি: بِسۡمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ) এর অর্থ: 

বিসমিল্লাহ: আল্লাহর নামে।

আর-রাহমান: যিনি পরম দয়ালু বা করুণাময়।

আর-রাহিম: যিনি বিশেষভাবে দয়ালু বা করুণাময়। 

ইসলামে, "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম" বলা একটি সুন্নত কাজ এবং এটি যেকোনো ভালো কাজ শুরু করার আগে বলা হয়। 


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিমের উপকারিতা

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম (بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ) একটি গুরুত্বপূর্ণ আরবি বাক্য, যার অর্থ "পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে"। এটি মুসলিমদের দৈনন্দিন জীবনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং এর অনেক ফজিলত বা উপকারিতা রয়েছে। 

"বিসমিল্লাহ" বলা একটি সুন্নত বা সুন্নাহ, যা প্রতিটি ভালো কাজ শুরু করার আগে বলা হয়। এটি আল্লাহর স্মরণ এবং তাঁর রহমত ও বরকত লাভের একটি মাধ্যম। 

এখানে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিমের কিছু ফজিলত বা উপকারিতা তুলে ধরা হলো: 

আল্লাহর সাহায্য লাভ:

যেকোনো কাজ শুরু করার আগে বিসমিল্লাহ বললে, আল্লাহ সেই কাজে সাহায্য করেন এবং বরকত দান করেন। 

শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে মুক্তি:

বিসমিল্লাহ পাঠ করলে শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। 

আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা লাভ:

বিসমিল্লাহ পাঠকারীর প্রতি আল্লাহ রহম করেন এবং তার গুনাহ মাফ করেন। 

কাজের বরকত:

যে কাজে বিসমিল্লাহ পড়া হয়, সেই কাজে বরকত বাড়ে এবং কাজের ফলাফল ভালো হয়। 

ইবাদত গণ্য হওয়া:

জাগতিক কাজও বিসমিল্লাহর মাধ্যমে ইবাদত হিসেবে গণ্য হতে পারে, যদি আল্লাহর নামে শুরু করা হয়। 

দুনিয়া ও আখেরাতে কল্যাণ:

বিসমিল্লাহ পাঠকারীর জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে কল্যাণ বয়ে আনে। 


২১ বার বিসমিল্লাহ পড়ার ফজিলত

ঘুমানোর আগে ২১ বার বিসমিল্লাহ পড়ে ঘুমালে আল্লাহ ফেরেশতাদের বলেন, ঐ ব্যক্তির প্রতিটি নিঃশ্বাসে নেকী লেখা হৌক। 


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এর ফজিলত


﷽ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

“বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” — অর্থ:

"শুরু করছি আল্লাহর নামে, যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।"


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম-এর ফজিলত ও গুরুত্ব

১. সকল কাজ শুদ্ধ ও বরকতময় হয়

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:

"যে কাজ ‘বিসমিল্লাহ’ দিয়ে শুরু করা হয় না, তা বরকতহীন হয়।”

— (ইবনে মাজাহ)

তাই খাওয়া, লেখা, যাত্রা, কথা বলা—সব কিছু “বিসমিল্লাহ” দিয়ে শুরু করাই সুন্নাত।


২. শয়তান দূরে থাকে

যখন কোনো খাবার বিসমিল্লাহ বলে শুরু করা হয়, শয়তান সে খাবার থেকে বঞ্চিত হয়।

রাসূল ﷺ বলেন:

“যখন কেউ খাবার খাওয়ার সময় বিসমিল্লাহ পড়ে, তখন শয়তান বলে, ‘আজ আমার খাবার নেই।’”

— (সহীহ মুসলিম)


৩. জিকিরের একটি গুরুত্বপূর্ণ দোয়া

কুরআনের ১১৪টি সূরার মধ্যে ১১৩টিতে “বিসমিল্লাহ” রয়েছে।

এটি কুরআনের একটি বিশেষ আয়াত—সূরা নামলের (২৭:৩০) মধ্যেও উল্লেখ আছে।


৪. আল্লাহর নামে আশ্রয় নেওয়া

"বিসমিল্লাহ" পড়লে আল্লাহর নামে কাজ শুরু হয়—যার ফলে তাঁর সাহায্য ও নিরাপত্তা লাভ হয়।


৫. নেকি অর্জন হয়

রাসূল ﷺ বলেন:

“যে ব্যক্তি ‘বিসমিল্লাহ’ বলে, তার জন্য প্রতিটি অক্ষরে নেকি লেখা হয়।”

— (তিরমিজি)


৬. সফলতা ও শান্তির চাবিকাঠি

বিসমিল্লাহ পড়ার মাধ্যমে একজন মুসলিম আল্লাহর উপর ভরসা রাখে, এতে মন প্রশান্ত হয় এবং কাজ সফল হয় ইনশাআল্লাহ।


সংক্ষেপে করণীয়:

বিসমিল্লাহ পড়ার উপকারিতা

খাওয়া-দাওয়া-শয়তান থেকে হেফাজত

ভ্রমণ/বাড়ি থেকে বের হওয়া-নিরাপত্তা

লেখা/পড়া শুরু-মনোযোগ ও বরকত

ওজু, গোসল, নামাজ-ইবাদতের পরিপূর্ণতা

মোটকথা, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম একটি বরকতময় বাক্য, যা মুসলিম জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি কাজে বিসমিল্লাহ পাঠ করা উচিত এবং এর ফজিলত ও বরকত থেকে উপকৃত হওয়া উচিত।