লো প্রেসার হলে যা খাবেন?-low pressure hole ja khaben

লো প্রেসার হলে যা খাবেন?

কম রক্তচাপ বা লো প্রেসার থাকলে কী খাবেন: শরীরে পানির মাত্রা ঠিক রাখতে পর্যাপ্ত পানি, ফলের রস, ডাবের পানি, ঘোল, দুধ পান করুন। লবণ এবং চিনি দিয়ে লেবুর রসও পান করতে পারেন। কফি, স্যুপ এবং অন্যান্য তরল খাবারও পান করতে পারেন, যা শরীরে পানি পূরণ করে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।


নিম্ন রক্তচাপের জন্য আরো কিছু খাবার যা খেতে পারেন:

লবণাক্ত খাবার:

লবণাক্ত খাবার রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে।

ফল:

লেবু, কমলা এবং জাম্বুরার মতো ফল নিম্ন রক্তচাপের জন্য উপকারী। 

ফোলেট সমৃদ্ধ খাবার:

শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফোলেট না থাকলে রক্তাল্পতা হতে পারে, যা নিম্ন রক্তচাপের কারণ হতে পারে। তাই খাদ্যতালিকায় অ্যাসপারাগাস, বিন এবং মসুর ডালের মতো উচ্চ ফোলেটযুক্ত খাবার যোগ করুন। 

ছোট এবং ঘন ঘন খাবার:

ছোট এবং ঘন ঘন খাবার খেলে পোস্টপ্রান্ডিয়াল হাইপোটেনশন (খাওয়ার পরে নিম্ন রক্তচাপ) প্রতিরোধ করা যেতে পারে। 

কিছু খাবার এড়িয়ে চলা উচিত: 

অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার, যেমন- দুধ।

বেশি লবণ ছাড়া খাবার, যেমন- হিমায়িত মাছ, লবণ ছাড়া বাদাম এবং বীজ, শুকনো মটরশুঁটি এবং মটরশুঁটি।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য: 

যদি আপনার নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা গুরুতর হয়, তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন। কারণ অনেক সময় নিম্ন রক্তচাপের কারণ হতে পারে অন্য কোনো রোগ।

জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তন যেমন- পর্যাপ্ত ঘুম, ব্যায়াম এবং ধূমপান পরিহার করে নিম্ন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।



লো প্রেসার (Low Blood Pressure) বা হাইপোটেনশন হলে শরীরে দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, ক্লান্তি, ঝাপসা দেখা— এমন নানা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনলে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখা যায়।

লো প্রেসারে যা খাওয়া উচিত (উপকারী খাবার)

১. লবণযুক্ত খাবার

লো প্রেসার হলে সামান্য বেশি লবণ খাওয়া যেতে পারে (ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী)

উদাহরণ: লবণ-লেবু পানি, স্যুপ, চিড়া-মুড়ি-লবণ

উচ্চ রক্তচাপ বা কিডনি সমস্যা থাকলে সতর্ক থাকতে হবে।


২. কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার

আলু, ভাত, রুটি, সাগু — এরা রক্তে গ্লুকোজ ও ভলিউম বাড়িয়ে প্রেসার বাড়াতে সাহায্য করে।


৩. পটাশিয়াম ও ফ্লুইডযুক্ত ফলমূল

কলা 

কমলা

আঙুর

নারকেল পানি 


৪. লবণ-চিনি মিশ্রিত ওরাল স্যালাইন বা পানীয়

হঠাৎ প্রেসার কমে গেলে এক গ্লাস পানিতে চিনি ও সামান্য লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন

ঘরে তৈরি ওরাল স্যালাইনও কার্যকর


৫. প্রোটিন ও আয়রনযুক্ত খাবার

ডিম 

মাছ 

মাংস 

ডাল

আয়রনের ঘাটতি থাকলে রক্তের চাপ কমে যেতে পারে


৬. বাদাম ও শুকনো ফল

কাঠবাদাম, কাজু, কিশমিশ, খেজুর

এরা দ্রুত শক্তি দিয়ে প্রেসার ঠিক করতে সাহায্য করে


এড়িয়ে চলুন:

অতিরিক্ত ক্যাফেইন (অনিয়মিত): কিছু সময়ের জন্য প্রেসার বাড়ালেও পরে কমে যেতে পারে

খুব ঠাণ্ডা পানি বা খাবার: প্রেসার আরও নিচে নেমে যেতে পারে

দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকা: লো প্রেসার বেড়ে যেতে পারে


বিশেষ লক্ষণ দেখলে সতর্ক হোন:

মাথা ঘোরা, চোখে অন্ধকার দেখা


বুক ধড়ফড় করা বা দুর্বলতা

এই অবস্থায় দ্রুত বসে পড়ুন, চিনি-লবণযুক্ত পানি খান, প্রয়োজনে চিকিৎসা নিন


উপসংহার:

লো প্রেসারে দ্রুত কিছু খাওয়া ও পর্যাপ্ত পানি পান খুব জরুরি।

খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক চাপ কমানো, আর নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা প্রয়োজন।