ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কমাতে ৭ দিনের খাবার পরিকল্পনা

ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কমাতে ৭ দিনের খাবার পরিকল্পনা

ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কমাতে ৭ দিনের খাবার পরিকল্পনা এবং সঠিক নির্দেশিকা প্রদান করা হয়েছে। এটি প্রাকৃতিক উৎসের উপর বেশি জোর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, তবে প্রয়োজনে পরিপূরকগুলির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

টিপস ১

৭ দিনের ক্যালসিয়াম-বুস্টিং খাবার পরিকল্পনা (সকালে-দুপুরে-বিকালে-রাতে)

দিন-সকালের নাস্তা

দিন ১: দুধ ১ গ্লাস + ১টা সিদ্ধ ডিম

দিন ২: ওটস + দুধ + চিয়া সিড

দিন ৩: ছোলা + কলা + দুধ

দিন ৪: সুজি হালুয়া + দুধ

দিন ৫: ব্রাউন ব্রেড + চিজ+কলা 

দিন ৬: চিঁড়া-দই-মিছরি

দিন ৭: সবজি ওমলেট + দুধ


দিন-দুপুরের খাবার

দিন ১: ভাত + পালং শাক ভাজি + ছোট মাছ

দিন ২: ভাত + কলমি শাক + ডিম

দিন ৩: ভাত + ঢেঁড়স + মুরগির ঝোল

দিন ৪: ভাত + লাউ চিংড়ি + কাঁচা পেঁপে

দিন ৫: ভাত + কচু শাক + মাছ

দিন ৬: ভাত + লাল শাক + ডিম

দিন ৭: ভাত + মিষ্টি কুমড়া + ছোট মাছ


দিন-বিকেলের খাবার

দিন ১: দই + বাদাম

দিন ২: নারকেল পানি + খেজুর

দিন ৩: আমলা বা মালটা

দিন ৪: নাশপাতি বা আঙুর

দিন ৫: বাদাম + তিল

দিন ৬: তাজা ফলের জুস

দিন ৭: দই + পেঁপে


দিন- রাতের খাবার

দিন ১: রুটি + টমেটো + ডাল

দিন ২: খিচুড়ি + বেগুন ভাজি

দিন ৩: সবজি রুটি + টক দই

দিন ৪: রুটি + ডিম ভাজি + টমেটো

দিন ৫: খিচুড়ি + মুরগির ঝোল

দিন ৬: রুটি + সবজি

দিন ৭: ডালিয়া বা ওটস


ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার (প্রাকৃতিক উৎস)

খাবার প্রতি ১০০ গ্রামে ক্যালসিয়াম

দুধ (গরু)১২০ মি.গ্রা

দই ১১০-১৫০ মি.গ্রা

চিজ  ৫০০-৭০০ মি.গ্রা

ছোট মাছ (চাপা শুটকি, কাঁটাসহ)  ২০০-৫০০ মি.গ্রা

কালচে শাক (পালং, লাল শাক)  ১০০-১৫০ মি.গ্রা

সয়াবিন ২০০ মি.গ্রা

তিল/সিজাম সিড  ৭০০-৮০০ মি.গ্রা

বাদাম (বিশেষ করে আমন্ড) ২৫০ মি.গ্রা


টিপস ২

৭ দিনের ক্যালসিয়াম-সমৃদ্ধ খাবারের পরিকল্পনা

প্রতিদিনের লক্ষ্য:

ক্যালসিয়াম: ৮০০–১২০০ মি.গ্রা (বয়স ও শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী)

ভিটামিন ডি: শরীরে শোষণ নিশ্চিত করতে

ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন কে২: হাড়ের জন্য সহায়ক


দিন ১:

সকাল: দুধের সঙ্গে ওটস + ১ টি সিদ্ধ ডিম + ১ টি কলা

বিকেল: দই/গ্রিক দই (১ কাপ) + ২টি খেজুর

রাত: ছোট মাছ ভাজি (কাঁটা-সহ) + পালং শাক ভাজি + ১ কাপ ভাত


দিন ২:

সকাল: ছোলা/সাদা চনা ভাজি + ১ কাপ দুধ

বিকেল: ছানার সন্দেশ / ঘরে বানানো পনির

রাত: টোফু দিয়ে সবজি + চিড়া ভিজিয়ে দইয়ের সাথে


দিন ৩:

সকাল: ডিমভাজি + হোলগ্রেইন রুটি + ১ গ্লাস ক্যালসিয়াম-ফোর্টিফায়েড দুধ

বিকেল: বাদাম (আমন্ড, সিজাম সিড) + ফল

রাত: পুঁই শাক + চিংড়ি / ছোট মাছ দিয়ে রান্না


দিন ৪:

সকাল: সেমাই দুধে রান্না (কম চিনি)

বিকেল: ঘোল/লস্সি (গ্রিক দই দিয়ে)

রাত: সরিষা শাক + ছোট রুই মাছ (ভাজি নয়, পাতলা রান্না)


দিন ৫:

সকাল: বাটার টোস্ট + দুধ

বিকেল: ছানা দিয়ে তৈরি স্ন্যাকস

রাত: বাঁধাকপি + চিংড়ি / ডাল + সবজি


দিন ৬:

সকাল: কলা ও দুধ দিয়ে স্মুদি + ওটস

বিকেল: কিশমিশ ও বাদাম

রাত: সরিষা মাছ বা চ্যাপা শুটকি দিয়ে লাউ / পালং


দিন ৭:

সকাল: সিদ্ধ ডিম + দুধের সঙ্গে ভেজানো চিঁড়া

বিকেল: ঘরে তৈরি পনির স্যালাড

রাত: ডাল, মেথি শাক ও ভাত


ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট গাইড

নোট: চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করবেন না।


সাপ্লিমেন্ট নেবেন কবে ও কিভাবে?

যখন দরকার:

খাদ্য গ্রহণে ঘাটতি থাকলে

বয়স্কদের জন্য (৫০ বছরের বেশি)

গর্ভবতী ও স্তন্যদাত্রী নারীদের

হাড়ে ব্যথা, বারবার ফ্র্যাকচার হলে


সঠিক পরিপূরক নির্দেশিকা (ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী):

খাবারের পর ক্যালসিয়াম সাইট্রেট বা ক্যালসিয়াম কার্বোনেট ৫০০-৬০০ মিলিগ্রাম (২ বার)

ভিটামিন ডি৩ ৪০০-৮০০ আইইউ ক্যালসিয়াম শোষণ বৃদ্ধি করে

ম্যাগনেসিয়াম ২৫০-৪০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে

জিংক এবং ভিটামিন কে২ প্রয়োজনে হাড়ে ক্যালসিয়াম জমা হতে সাহায্য করে


অতিরিক্ত টিপস:

প্রতিদিন সকালে ১৫-২০ মিনিট রোদে থাকুন (ভিটামিন ডি)

চা এবং কফি কম পান করার চেষ্টা করুন (ক্যালসিয়াম শোষণ কমায়)

খুব লবণাক্ত বা প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন