পাইলস (Hemorrhoids) হলে করণীয় এবং পাইলস এর লক্ষণ গুলো কি কি?
পাইলস হলে করণীয় কী?
পাইলস বা অর্শ হলে করণীয় হলো পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবারযুক্ত খাবার (শাকসবজি, ফলমূল) এবং প্রচুর পানি পান করে মল নরম রাখা, মলত্যাগের সময় চাপ না দেওয়া, গরম পানিতে (সিত্জ বাথ) ভাপ নেওয়া এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। প্রাথমিক পর্যায়ে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে পাইলস থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব; তবে গুরুতর হলে ব্যান্ড লাইগেশন বা সার্জারির মতো চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।
ঘরোয়া উপায়
খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন:
প্রচুর শাকসবজি, ফলমূল ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন।
পানি পান করা:
শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে এবং মল নরম রাখতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
গরম পানিতে ভাপ নেওয়া:
দিনে কয়েকবার ১৫ মিনিট ধরে গরম পানিতে বসে থাকলে আরাম পাওয়া যায়।
মলত্যাগের সময় চাপ না দেওয়া:
মলত্যাগের সময় বেশি চাপ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন
প্রাথমিক পর্যায়ে বা গুরুতর লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
চিকিৎসক আপনার পাইলসের ধরন ও উপসর্গ পরীক্ষা করে সঠিক চিকিৎসা নির্ধারণ করবেন।
কখনো কখনো প্রয়োজন হয়
কিছু ক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসকের কাছে গেলে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয় না।
কিন্তু পাইলস গুরুতর হলে ব্যান্ড লাইগেশন বা অন্য কোনো সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।
পরামর্শ
দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য বা মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত চাপ পাইলসকে বাড়িয়ে দিতে পারে, তাই এই সমস্যাগুলো এড়িয়ে চলুন।
পাইলস (Hemorrhoids) হলে ঘরোয়া যত্ন ও জীবনধারার পরিবর্তন প্রাথমিকভাবে উপশম দিতে পারে।
এখানে বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হলো:
১. খাদ্যাভ্যাস ঠিক রাখা
আঁশযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া (ফল, সবজি, শস্য) → কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়।
পর্যাপ্ত পানি পান করা → মল নরম থাকে।
মশলাদার, তেলতেলে বা অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার এড়ানো।
২. মলত্যাগের অভ্যাস
মলত্যাগের সময় দীর্ঘ সময় বসে থাকা বা শক্ত চেষ্টার ফলে চাপ দেওয়া এড়ানো।
প্রয়োজনে টয়লেটের আগে হালকা হাঁটা → হজম ভালো রাখে।
৩. Sitz bath বা গরম পানি স্নান
গরম পানিতে ১০–১৫ মিনিট বসে থাকা → ব্যথা ও ফুলে যাওয়া কমায়।
দিনে ২–৩ বার করা যেতে পারে।
৪. ব্যথা বা ফোলাভাব কমানোর ঔষধ
প্রয়োজনে ডাক্তার দেখানো ক্রিম বা মলম বা পেইন রিলিভার ট্যাবলেট।
৫. জীবনধারার পরিবর্তন
সক্রিয় থাকা, দীর্ঘক্ষণ বসে না থাকা।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করা।
ধূমপান ও অ্যালকোহল এড়ানো।
৬. কখন ডাক্তার দেখানো জরুরি
রক্তপাত প্রচুর হলে।
পাইলস বাইরে বের হয়ে যায় ও নিজে ফিরে আসে না।
ব্যথা, সেলাই বা ফোলা দীর্ঘস্থায়ী হয়।
অনিয়মিত মলত্যাগ বা অন্যান্য জটিলতা দেখা দেয়।
পাইলস এর লক্ষণ
পাইলস (Hemorrhoids বা অর্শকীট) হলো মলদ্বার ও গুহায় রক্তনালী ফোলা বা স্ফীত হওয়া। এর লক্ষণগুলো বিভিন্নভাবে প্রকাশ পেতে পারে।
পাইলসের সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে মলত্যাগের সময় ব্যথা ও অস্বস্তি, মলদ্বার দিয়ে রক্তপাত, মলদ্বারের আশেপাশে চুলকানি ও জ্বালাপোড়া, এবং মলদ্বারের কাছে ফুলে যাওয়া বা পিণ্ড অনুভব করা। এছাড়া, পায়খানার সাথে রক্তপাত হওয়া একটি সাধারণ লক্ষণ এবং কিছু ক্ষেত্রে মলদ্বারের আশেপাশে সংবেদনশীল বা যন্ত্রণাদায়ক পিণ্ডের উপস্থিতি থাকতে পারে।
পাইলসের সাধারণ লক্ষণ:
মলদ্বারে ব্যথা ও অস্বস্তি:
মলত্যাগের সময় বা পরে মলদ্বারে ব্যথা, জ্বালাপোড়া বা অস্বস্তি অনুভূত হতে পারে।
মলদ্বার দিয়ে রক্তপাত:
মলত্যাগের সময় বা পরে টয়লেট পেপারে বা মলের সঙ্গে উজ্জ্বল লাল রক্ত দেখা যেতে পারে।
চুলকানি ও জ্বালাপোড়া:
মলদ্বারের আশেপাশে চুলকানি বা জ্বালাপোড়া হতে পারে।
ফুলে যাওয়া পিণ্ড:
মলদ্বারের আশেপাশে ত্বকের নীচে বা ভেতরে ফুলে যাওয়া পিণ্ড বা ফোলা অনুভব করা যেতে পারে।
অস্বস্তিকর পিণ্ড:
কিছু ক্ষেত্রে, মলদ্বারের কাছে সংবেদনশীল বা যন্ত্রণাদায়ক পিণ্ড দেখা যায়, যা "থ্রম্বোজড হেমোরয়েডস" নামে পরিচিত, বিশেষ করে যদি তার মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধে।
কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন?
যদি আপনি পাইলসের কোনো উপসর্গ অনুভব করেন, তাহলে দ্রুত একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। প্রাথমিক রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা অস্বস্তি কমাতে এবং জটিলতা প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
প্রধান লক্ষণগুলো হলো:
১. রক্তপাত
পাইলসের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ।
মলত্যাগের সময় উজ্জ্বল লাল রক্ত দেখা যায়।
সাধারণত টয়লেট পেপারে বা মলদ্বারের উপর থাকে।
২. গঠনগত ফোলা বা গুটিকা
মলদ্বারের চারপাশে ছোট গোলাকার ফোলা বা গুটিকা অনুভূত হতে পারে।
এটি কখনো কখনো ব্যথাহীন, কখনো অস্বস্তিকর বা ব্যথাদায়ক।
৩. ব্যথা ও অস্বস্তি
পাইলস ভেতরে (internal) হলে সাধারণত ব্যথা কম থাকে।
বাহিরের (external) হলে বসা বা হাঁটাচলার সময় ব্যথা বা জ্বালা অনুভূত হতে পারে।
৪. চুলকানি বা জ্বালা
মলদ্বার বা চারপাশে চুলকানি, জ্বালা বা অস্বস্তি।
৫. লেপ বা স্লাইম
মলদ্বার থেকে চিকন পদার্থ বা স্লাইমের মতো লেপ আসতে পারে।
বিশেষত যখন পাইলস ফুলে বা উত্তেজিত হয়।
৬. মলত্যাগে অসুবিধা
কখনো কখনো পাইলস মলত্যাগ কঠিন বা ব্যথাজনক করে তোলে।
দ্রষ্টব্য:
যদি রক্তপাত দীর্ঘস্থায়ী, প্রচুর বা ব্যথার সাথে হয়, ডাক্তার দেখানো জরুরি।
অনেক সময় পাইলসের লক্ষণ অন্য গুরুতর সমস্যার (যেমন ফিস্টুলা, কোলন ক্যান্সার) সাথে মিলতে পারে।
পাইলসের জন্য ৫টি দ্রুত ঘরোয়া প্রতিকার
পাইলস (Hemorrhoids) হলে দ্রুত আরাম পাওয়ার জন্য ঘরোয়া কিছু কার্যকর উপায় নিচে দেওয়া হলো:
১. Sitz Bath বা গরম পানিতে বসা
গরম পানিতে ১০–১৫ মিনিট বসে থাকা দিনে ২–৩ বার।
এটি ব্যথা, জ্বালা ও ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।
২. মধু বা Aloe Vera ব্যবহার
বাহ্যিক পাইলসে হালকা মধু বা Aloe Vera জেল লাগানো যেতে পারে।
এটি চুলকানি ও জ্বালা কমায়।
৩. হাইড্রেশন ও আঁশযুক্ত খাবার
পর্যাপ্ত পানি পান করা।
আঁশযুক্ত খাবার (ফল, সবজি, শস্য) মল নরম রাখে ও কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়।
৪. ঠান্ডা কম্প্রেস
বাহ্যিক পাইলসে বরফ বা ঠান্ডা কাপড় ৫–১০ মিনিট চাপা।
ফোলাভাব ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
৫. দীর্ঘক্ষণ বসা এড়ানো ও হালকা হাঁটা
দীর্ঘ সময় বসার পরিবর্তে হাঁটাচলা করা।
ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখা।
মলত্যাগের সময় খুব বেশি চাপ দেওয়া এড়ানো।
thistimebd Bangladesh Live online newsportal, education, Lifestyle, Health, Photography, gif image etc.
Make your own name or company name website | contact: thistimebd24@gmail.com
Copyright © 2020-2025 News Portal in Bangladesh - THISTIMEBD.COM. ALL Rights Reserved.