পিঠে ব্যথা (Back Pain) হলে করণীয় কী?

পিঠে ব্যথা হলে করণীয় কী?

পিঠে ব্যথা (Back Pain) খুব সাধারণ একটি সমস্যা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি জীবনযাত্রার অভ্যাস, ভুল বসা-শোওয়া বা অতিরিক্ত চাপের কারণে হয়ে থাকে। তবে সঠিক যত্ন নিলে অনেক সময়েই ব্যথা কমে যায়।

পিঠে ব্যথা হলে করণীয়

বিশ্রাম নিন, তবে অতিরিক্ত নয়

একদম শুয়ে থাকা নয়, হালকা নড়াচড়া চালিয়ে যান।

দীর্ঘ সময় বসে থাকা এড়িয়ে চলুন।

হালকা গরম বা ঠান্ডা সেঁক

নতুন ব্যথা (আঘাতের পর) হলে ২৪–৪৮ ঘণ্টা বরফ সেঁক দিন।

দীর্ঘস্থায়ী ব্যথায় হালকা গরম পানির ব্যাগ দিয়ে সেঁক দিন।

সঠিক ভঙ্গিতে বসা ও দাঁড়ানো

চেয়ারে বসলে পিঠ সোজা রাখুন, কুশন ব্যবহার করুন।

ভারী জিনিস তুলতে হলে হাঁটু ভেঙে তুলুন, কোমর বাঁকাবেন না।

হালকা ব্যায়াম ও স্ট্রেচিং

“ক্যাট-কাউ” যোগাসন, কোমর স্ট্রেচ, হালকা হাঁটা উপকারী।

হঠাৎ ভারী ব্যায়াম করবেন না।

ওষুধ (প্রয়োজনে)

সাধারণ ব্যথায় প্যারাসিটামল বা হালকা পেইন-রিলিভার খাওয়া যেতে পারে (চিকিৎসকের পরামর্শে)।


পিঠে ব্যথা হলে, প্রথমে বিশ্রাম নিন। ব্যথা বেশি হলে ঠান্ডা ও গরম সেঁক দিন। হালকা ব্যায়াম বা স্ট্রেচিং পেশী শিথিল করতে সাহায্য করে। দীর্ঘ সময় একভাবে বসে থাকা বা ভুল ভঙ্গিতে বসা এড়িয়ে চলুন। যদি ব্যথা তীব্র হয় বা অন্যান্য উপসর্গ যেমন শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা থাকে, তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, কারণ এটি গুরুতর কোনো সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। 

করণীয়:

বিশ্রাম নিন: পিঠে বেশি চাপ পড়া থেকে বিরত থাকুন। 

ঠান্ডা ও গরম সেঁক: প্রথম দিকে ঠান্ডা সেঁক (আইস প্যাক) দিন, এবং ধীরে ধীরে ব্যথা কমলে গরম সেঁক ব্যবহার করুন। 

ওষুধ: ডাক্তার বা ফার্মাসিস্টের পরামর্শে ব্যথানাশক বা পেশী শিথিল করার ওষুধ সেবন করতে পারেন। 

ব্যায়াম ও স্ট্রেচিং: পেশীতে রক্ত চলাচল বাড়াতে হালকা ব্যায়াম ও স্ট্রেচিং করুন। যোগব্যায়াম এক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে। 

সঠিক অঙ্গবিন্যাস (Posture):সোজা হয়ে বসুন, মেরুদণ্ড সোজা রেখে চেয়ারে বসুন এবং ভারী জিনিস তোলার সময় কোমর সোজা রাখুন। 


কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন: 

পিঠের ব্যথা ২ সপ্তাহেও কমছে না।

ব্যথার সাথে হাত-পা অবশ হওয়া, ঝিনঝিন করা বা দুর্বলতা দেখা দিলে।

হঠাৎ প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হলে।

প্রস্রাব বা পায়খানা নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হলে।

জ্বর, ওজন কমে যাওয়া, ক্যান্সার/টিবি ইতিহাস থাকলে।

ব্যথা হঠাৎ করে শুরু হলে এবং খুব তীব্র হলে।

বুকে বা পিঠে ব্যথার সাথে শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা বা বমি বমি ভাব থাকলে।

অন্য কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা, যেমন হৃদরোগের লক্ষণ থাকলে।

ব্যথা কিছুতেই না কমলে বা আরও বাড়লে।