চাকরির সাক্ষাৎকারে নিজের সম্পর্কে যেভাবে বলবেন

চাকরির সাক্ষাৎকারে নিজের সম্পর্কে যেভাবে বলবেন

নিজের সম্পর্কে আমাকে বলুন — চাকরির সাক্ষাৎকারে এটি খুবই সাধারণ এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নের মাধ্যমে, নিয়োগকর্তা দেখতে চান যে আপনি কতটা আত্মবিশ্বাসী, আপনার যোগাযোগ দক্ষতা কতটা ভালো এবং আপনি আপনার পেশাদার পরিচয় কতটা স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করতে পারেন। নীচে একটি কাঠামো এবং উদাহরণ দেওয়া হল যা আপনি অনুসরণ করতে পারেন:


কাঠামো:

আপনার নাম এবং শিক্ষাগত পটভূমি (সংক্ষেপে)

পেশাগত অভিজ্ঞতা (যদি থাকে)

দক্ষতা এবং অর্জন

আপনার লক্ষ্য এবং কেন আপনি এই চাকরির জন্য উপযুক্ত


উদাহরণ (নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য):

“আমার নাম মোঃ হোসেন। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্কেটিংয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেছি।  ছাত্রজীবনে বিভিন্ন গ্রুপ প্রকল্প এবং উপস্থাপনার মাধ্যমে আমি টিমওয়ার্ক এবং নেতৃত্বের গুণাবলী অর্জন করেছি। আমি দ্রুত শিখি এবং নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে আগ্রহী। আমি বিশ্বাস করি যে আপনার প্রতিষ্ঠানে আমার দক্ষতা প্রয়োগ করে আমি নিজেকে প্রমাণ করতে পারব।”

[My name is Md. Hossain. I have completed my graduation in Marketing from Dhaka University. I have acquired teamwork and leadership qualities through various group projects and presentations during my student life. I am a quick learner and eager to take on new challenges. I believe that I can prove myself by applying my skills in your organization.]


উদাহরণ (অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের জন্য):

“আমি আয়শা আক্তার। আমি গত ৩ বছর ধরে কর্পোরেট সেক্টরে একজন এইচআর এক্সিকিউটিভ হিসেবে কাজ করছি। আমার দায়িত্বের মধ্যে ছিল নিয়োগ, কর্মচারী সম্পর্ক এবং প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন। আমি ৭টিরও বেশি নিয়োগ প্রকল্প সফলভাবে পরিচালনা করেছি। আমি একজন সমস্যা সমাধানকারী এবং টিম ম্যানেজমেন্টে আত্মবিশ্বাসী। আমি বিশ্বাস করি যে আমার অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা আপনার প্রতিষ্ঠানে ভালো ফলাফল আনবে।”

[I am Aisha Akhter. I have been working as an HR executive in the corporate sector for the past 3 years. My responsibilities included recruitment, employee relations and training and development. I have successfully managed more than 7 recruitment projects. I am a problem solver and confident in team management. I believe that my experience and skills will bring good results in your organization.]


টিপস:

অতিরিক্ত ব্যক্তিগত তথ্য এড়িয়ে চলুন (যেমন, আপনার পরিবারের কত ভাইবোন, কে আছেন)।

পেশাদারিত্ব বজায় রাখুন।

আত্মবিশ্বাসের সাথে এবং সংক্ষিপ্তভাবে কথা বলুন (১-২ মিনিটের মধ্যে)।