কোন দেশের ইমিগ্রেশন ভিসা সবচেয়ে সহজ এবং সস্তা?

সবচেয়ে সহজ ও সস্তা ইমিগ্রেশন ভিসা

immiration visa kun des sobchey sohoj abong sosta

এটার উত্তর নির্ভর করে আপনার উদ্দেশ্য (স্থায়ী বসবাস, কাজ, পড়াশোনা) এবং যোগ্যতার ওপর। “সহজ” আর “সস্তা” দুইটাই আপেক্ষিক—কেউ হয়তো কম কাগজপত্র চাইছে কিন্তু ভিসা ফি বেশি, আবার কারও ভিসা ফি কম কিন্তু শর্ত কঠিন।

২০২৫ সালের প্রেক্ষাপটে সাধারণত তুলনামূলক সহজ ও কম খরচের ইমিগ্রেশন বা দীর্ঘমেয়াদী ভিসা দেওয়া হয় যেসব দেশে:


জর্জিয়া (Georgia)

অনেক দেশের নাগরিকদের ১ বছরের ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার (বাংলাদেশের জন্য ই-ভিসা সিস্টেম)।

ব্যবসা বা রিমোট ওয়ার্কের জন্য রেসিডেন্স পারমিট নেওয়া তুলনামূলক সহজ।

খরচ কম এবং ট্যাক্স ব্যবস্থা সোজা।


আর্মেনিয়া (Armenia)

ই-ভিসা বা অন-অ্যারাইভাল ভিসা ব্যবস্থা সহজ।

স্থায়ী বসবাসের জন্য বিনিয়োগ বা ব্যবসা শুরু করলে শর্ত তুলনামূলক শিথিল।


ইউরোপের কিছু ছোট দেশ (যেমন পর্তুগাল, স্পেনের Digital Nomad Visa)

অনলাইনে আবেদন সম্ভব, তবে আয়ের প্রমাণ লাগবে।

খরচ মাঝারি, কিন্তু অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের তুলনায় নথি-প্রক্রিয়া তুলনামূলক সহজ।


দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলো (প্যারাগুয়ে, উরুগুয়ে, ইকুয়েডর)

রেসিডেন্স পারমিট পেতে তুলনামূলক কম শর্ত।

অনেক সময় কেবল আয়ের প্রমাণ বা অল্প বিনিয়োগেই হয়।

জীবনযাত্রার খরচ কম।


তুরস্ক (Turkey)

ট্যুরিস্ট রেসিডেন্স পারমিট নবায়ন করে দীর্ঘমেয়াদে থাকা সম্ভব।

সম্পত্তি কিনে দ্রুত রেসিডেন্স/সিটিজেনশিপের সুযোগ।

তবে, ভিসা নীতিমালা প্রায়ই পরিবর্তিত হয়। তাই আবেদন করার আগে সরকারি ইমিগ্রেশন সাইট থেকে হালনাগাদ তথ্য যাচাই করা জরুরি।

বাজেট, উদ্দেশ্য আর পাসপোর্ট শর্ত অনুযায়ী ২০২৫ সালের সর্বশেষ সহজ ও সস্তা ইমিগ্রেশন ভিসা অপশনগুলোর র‌্যাংকিং স্থায়ী বসবাস

২০২৫ সালের বাজেট, উদ্দেশ্য (স্থায়ী বসবাস) এবং পাসপোর্ট শর্ত (“সহজ ও সস্তা”) অনুযায়ী সর্বশেষ সহজ এবং সস্তা ইমিগ্রেশন বা অবতরণের (permanent residency / citizenship) ভিসা অপশনগুলো কী এবং কিভাবে করা যায়।

প্রধান পয়েন্ট: অর্থনৈতিক ভিসা বা CBI এর (Citizenship by Investment Programs) তুলনমূলক বিশ্লেষণ


আমি নিচে ২টি প্রধান ক্যাটেগরি অনুসারে তথ্য তুলে ধরছি:


১. সরাসরি Citizenship by Investment (CBI) প্রোগ্রাম – দ্রুত ও তুলনামূলক কম খরচে পুরস্কৃত হলে

মূল Criteria: কম বাজেট (~USD 100–400K), প্রতিবার নাগরিকত্ব, পরিবারের অন্তর্ভুক্তি, দ্রুত প্রক্রিয়া, ও দারুণ পাসপোর্ট সুবিধা।


শীর্ষ দেশসমূহ:


Vanuatu

Donation প্রয়োজন: ~$130K 

Investment Visa

প্রক্রিয়াকাল: মাত্র 1–2 মাস 

Imperial Citizenship

তুলনামূলক সস্তা ও দ্রুত—“Fastest and most affordable” 


Dominica

Donation: $200K (অথবা রিয়েল এস্টেট $200–$250K) 

Imperial Citizenship

সুবিধা: দারুণ প্রক্রিয়া, উচ্চ র‌্যাংকিং, পরিবারসহ আবেদন করার সুযোগ 


Antigua and Barbuda

Donation: $230K; Real estate: ~$270K 

Imperial Citizenship

সুবিধা: পরিবারসহ আবেদন, 150+ দেশ ভিসা-ফ্রি প্রবেশাধিকার 


Saint Lucia

Donation: $240K; Real estate: ~$300K 

Imperial Citizenship

লজিস্টিক সহজতা ও বিভিন্ন বিনিয়োগ বিকল্প পথ আছে 


Grenada

Donation: $235K; Real estate: ~$270K 

বিশেষ সুবিধা: US E-2 ইন্ভেস্টর ভিসা ব্যবস্থায় পাথ, +145 দেশ ভিসা ফ্রি 


St. Kitts & Nevis

Donation: $250K; Real estate: $325K 

Imperial Citizenship

দীর্ঘকালীন, প্রভাবশালী প্রোগ্রাম, 150+ দেশ দিয়ে ভিসা-ফ্রি 


Nauru

Donation: $105K — সবচেয়ে সস্তা! 

Investment Visa

নতুন প্রোগ্রাম, দ্রুত প্রক্রিয়া, ছোট দেশ কিন্তু কম খরচে নাগরিকত্বের সুযোগ।


Turkey

Real estate investment: $400K; বা অন্যান্য বিকল্প—$500K ব্যাঙ্ক ডিপোজিট ইত্যাদি 

প্রক্রিয়াকাল: প্রায় 6–12 মাস 



২. Residency by Investment (Golden Visas) — পরবর্তীতে নাগরিকত্বের পথ

মূল উদ্দেশ্য: EU বা অন্যান্য দেশে স্থায়ী বসবাস প্রাথমিকভাবে, এবং পরবর্তীতে নাগরিকত্ব নিতে আগ্রহ।


Mexico

Income-based: ~$3,100/মাস অথবা সেভিংস €47,500; প্রক্রিয়াকাল ৪ সপ্তাহে পিসিআর 

Global Citizen Solutions


Costa Rica

Rentista/Pensionado: ~$920/মাস; প্রক্রিয়াকাল ৩–৬ মাস; ৩ বছরের residency → naturalisation 

Global Citizen Solutions


Malta

Property/rental: €350K বা €12K/বছর; শীঘ্রই PR পাওয়া যায় 

Global Citizen Solutions


Latvia, Greece, Hungary, Italy

Latvia: ~€60K bonds; Greece/Hungary: ~€250K property/fund; Italy: €250K startup investment—EU রেসিডেন্স প্রাপ্তি। 


প্রারম্ভিক পথ

আপনি যদি “সর্বোচ্চ সুবিধা” চান সর্বনিম্ন খরচে ও দ্রুত সময়ে স্থায়ী নাগরিকত্ব —

খরচ কমে: Nauru, Vanuatu, Dominica

পরিবারসহ এলাকার স্বচ্ছ: Antigua & Barbuda, Saint Lucia

বিশ্বস্ত ও পুরনো প্রোগ্রাম: St. Kitts & Nevis

বিশেষ সুযোগ (যেমন USA E-2 ভিসা): Grenada



স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য উপযুক্ত দেশ—

(১) নিরাপত্তা, (২) নারীর অধিকার, (৩) জীবনের মান, (৪) ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়ার সহজতা, (৫) জীবনযাত্রার খরচ।


বসবাসের উপযুক্ত দেশ (২০২৫-এর দৃষ্টিতে)

নিচের তালিকায় সুরক্ষা, স্বাধীনতা, কর্মসংস্থান সুযোগ, এবং ভিসা/রেসিডেন্স প্রক্রিয়া সহজতার ভিত্তিতে সাজিয়েছি।


1. কানাডা 🇨🇦

কেন ভালো: নারী সুরক্ষা, সমান অধিকার, কর্মক্ষেত্রে সুযোগ, উচ্চমানের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা।

ভিসা পথ: Express Entry (Skilled Worker), Provincial Nominee Program।

নোট: খরচ তুলনামূলক বেশি হলেও জীবনমান দারুণ।


2. নিউজিল্যান্ড 🇳🇿

কেন ভালো: শান্তিপূর্ণ, নারীর নিরাপত্তায় শীর্ষে, কর্ম-জীবনের ভারসাম্য।

ভিসা পথ: Skilled Migrant Visa, Essential Skills Visa।

নোট: জীবনযাত্রার খরচ মাঝারি-উচ্চ।


3. পর্তুগাল 🇵🇹

কেন ভালো: ইউরোপের মধ্যে সস্তা, নিরাপদ, নারীবান্ধব সমাজ।

ভিসা পথ: D7 Visa (Passive Income), Digital Nomad Visa, Golden Visa।

নোট: ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অংশ, পরে EU পাসপোর্টের সুযোগ।


4. ফিনল্যান্ড 🇫🇮

কেন ভালো: নারী অধিকার ও জেন্ডার সমতায় বিশ্বের শীর্ষে, মাতৃত্বকালীন সুবিধা অসাধারণ।

ভিসা পথ: Work Visa, Start-up Visa।

নোট: শীত বেশি, কিন্তু সেফটি সর্বোচ্চ।


5. কোস্টা রিকা 🇨🇷

কেন ভালো: শান্তিপূর্ণ, কোনো সেনাবাহিনী নেই, নারীর নিরাপত্তায় ভালো রেটিং।

ভিসা পথ: Pensionado, Rentista Residency।

নোট: জীবনযাত্রার খরচ ল্যাটিন আমেরিকার তুলনায় মাঝারি।


6. আয়ারল্যান্ড 🇮🇪

কেন ভালো: বন্ধুবৎসল পরিবেশ, নারীর নিরাপত্তা, ইংরেজিভাষী।

ভিসা পথ: Critical Skills Employment Permit।

নোট: ইউরোপের সেরা জীবনমানগুলির মধ্যে একটি।


যদি আপনি চান:

নিরাপত্তা + ভালো ক্যারিয়ার সুযোগ: কানাডা, নিউজিল্যান্ড, ফিনল্যান্ড

কম খরচ + ইউরোপে বসবাস: পর্তুগাল

শান্তিপূর্ণ জীবন + নেচার: কোস্টা রিকা, নিউজিল্যান্ড

ভবিষ্যতে EU পাসপোর্ট: পর্তুগাল, আয়ারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড



কিছু বাস্তবসম্মত বিকল্প পথ আছে:


১. ওয়ার্ক ভিসা + পরে স্থায়ী বসবাস

যেহেতু আয় কম, সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো প্রথমে কাজের ভিসায় যাওয়া, তারপর সেখানে কয়েক বছর কাজ করে PR (Permanent Residency) নেওয়া।


সহজে সুযোগ পাওয়া যায় এমন দেশ:

মালয়েশিয়া 🇲🇾 → বেকারি, কিচেন হেল্প, ফুড প্রোডাকশন সেক্টরে চাহিদা আছে।

ওমান, কাতার, সৌদি আরব 🇴🇲🇶🇦🇸🇦 → বেকারি ও ফুড প্রসেসিংয়ের কাজ পাওয়া যায়, শুরুতে খরচ কম।

পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া, রোমানিয়া 🇵🇱🇱🇹🇷🇴 → ইউরোপে বেকারি ও ফুড ফ্যাক্টরি ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া যায়, ৫ বছরে PR সুযোগ।


২. স্টুডেন্ট ভিসা (পার্ট-টাইম কাজের সুযোগ)

যদি কিছু টাকা সঞ্চয় করতে পারেন (৩–৫ লাখ টাকা), তাহলে স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়া যায়, যেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করে খরচ চালানো যায় এবং পরে রেসিডেন্সির সুযোগ পাওয়া যায়।

তুরস্ক 🇹🇷 → তুলনামূলক কম খরচে পড়াশোনা, পরে রেসিডেন্সি।

মাল্টা 🇲🇹 → ইংরেজি শেখা + কাজের সুযোগ।

পোল্যান্ড 🇵🇱 → ইউরোপে কম খরচের স্টাডি ভিসা।


৩. ট্রেইনিং বা স্কিলড ওয়ার্কার প্রোগ্রাম

যদি আপনি বেকিং স্কিল আরও উন্নত করে সার্টিফিকেট নেন, তাহলে:

জাপান 🇯🇵 → TITP (Technical Intern Training Program) – বেকারি ও ফুড প্রোডাকশনে চাকরি।

দক্ষিণ কোরিয়া 🇰🇷 → E-9 ভিসা (ফুড প্রসেসিং সেক্টর)।


বাস্তব কথা

আপনি যদি ১–২ বছর বিদেশে কাজ করে সঞ্চয় করেন,

বা স্কিল আপগ্রেড করেন,

তাহলে ৩–৫ বছরের মধ্যে স্থায়ী বসবাসের পথ তৈরি হবে।


আপনি চাইলে আমি বেকারি পেশার জন্য সবচেয়ে সহজ ৫টি দেশের কাজের ভিসা + পরে PR পাওয়ার রোডম্যাপ বানিয়ে দিতে পারি।

আপনি কি চান আমি সেটা এখন সাজিয়ে দিই?


🇨🇦 কানাডায় যাওয়ার বাস্তবসম্মত পথসমূহ

1. ওয়ার্ক পারমিট (LMIA বা Employer-Sponsored Work Permit)

কাজ খুঁজে নিন: কানাডায় বেকারি, ফুড প্রোডাকশন, কিচেন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্টরে বিদেশি কর্মীর চাহিদা আছে।

LMIA: কানাডিয়ান নিয়োগকর্তা আপনাকে নিয়োগ দিয়ে LMIA অনুমোদন নিলে আপনি ওয়ার্ক পারমিট পেতে পারেন।


ধাপ:

অনলাইন জব পোর্টালে আবেদন (Job Bank Canada, Indeed Canada)

ইন্টারভিউ + অফার লেটার

LMIA অ্যাপ্লিকেশন

ওয়ার্ক পারমিট ইস্যু

সুবিধা: ২–৩ বছর কাজ করে Express Entry বা PNP দিয়ে PR নেওয়া যায়।


2. স্টাডি পারমিট + পার্ট-টাইম জব

পড়াশোনা করতে গেলে ২০ ঘণ্টা/সপ্তাহ কাজের সুযোগ পাবেন।

কোর্স শেষের পরে Post-Graduation Work Permit (PGWP) পেয়ে কানাডায় ফুল-টাইম কাজ করতে পারবেন।

১–৩ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা দিয়ে Canadian Experience Class (CEC) ক্যাটেগরিতে PR পাওয়া সম্ভব।

খরচ: প্রথম বছরে টিউশন ফি + লিভিং কস্ট — প্রায় ১২–১৫ লাখ টাকা।

কম খরচের প্রভিন্স: Manitoba, Saskatchewan, Nova Scotia।


3. Rural and Northern Immigration Pilot (RNIP)

ছোট শহর ও গ্রামীণ এলাকায় কাজ করলে সরাসরি PR-এর সুযোগ।

চাহিদা: রেস্টুরেন্ট, বেকারি, ফুড প্রোডাকশন সেক্টরে বেশি।

খরচ ও প্রতিযোগিতা কম।


4. Caregiver Program (যদি নতুন স্কিল শেখেন)

নার্সিং অ্যাসিস্ট্যান্ট বা কেয়ারগিভার প্রশিক্ষণ নিয়ে কানাডায় কাজের সুযোগ।

২ বছরের মধ্যে PR।


গুরুত্বপূর্ণ টিপস

আপনার বর্তমান আয়ের চেয়ে স্কিল সার্টিফিকেট ও বিদেশি কাজের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি কাজে আসবে।

LMIA-ভিত্তিক চাকরি পেলে আপনাকে বেশি টাকা দেখাতে হবে না।

কানাডায় বেকারি বা ফুড সার্ভিস চাকরি পেতে IELTS জেনারেল কমপক্ষে CLB 4–5 (প্রায় 4.5–5.0) দরকার।



কানাডার স্টুডেন্ট ভিসা (Study Permit) নিতে কত খরচ লাগবে সেটা কয়েকটা অংশে ভাগ করে দেখা ভালো—


১. টিউশন ফি

এটা নির্ভর করবে আপনি কোন কোর্স আর কোন প্রভিন্সে পড়ছেন তার উপর।


ডিপ্লোমা/সার্টিফিকেট (College): CAD $13,000 – $18,000 / বছর

→ বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১১ – ১৫ লাখ টাকা


ব্যাচেলর (University): CAD $18,000 – $25,000 / বছর

→ প্রায় ১৫ – ২১ লাখ টাকা


মাস্টার্স: CAD $17,000 – $30,000 / বছর

→ প্রায় ১৪ – ২৫ লাখ টাকা


২. জীবনযাত্রার খরচ (Living Expenses)


কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন নিয়ম অনুযায়ী আপনার সাথে থাকতে হবে ন্যূনতম CAD $20,635 (প্রায় ১৭ – ১৮ লাখ টাকা) এক বছরের খরচ দেখানোর জন্য।

এর মধ্যে থাকে:

বাসাভাড়া

খাবার

যাতায়াত

পোশাক

অন্যান্য দৈনন্দিন খরচ


৩. ভিসা ফি ও অন্যান্য খরচ

স্টাডি পারমিট আবেদন ফি: CAD $150 (~১৩,০০০ টাকা)

বায়োমেট্রিক ফি: CAD $85 (~৭,৪০০ টাকা)

মেডিকেল টেস্ট: ~৭,০০০ – ১০,০০০ টাকা

IELTS ফি: ~২০,০০০ টাকা

GIC (Guaranteed Investment Certificate) – কিছু ক্ষেত্রে: CAD $10,000 (~৮.৫ লাখ টাকা) যদি SDS (Student Direct Stream) ব্যবহার করেন।


মোট আনুমানিক খরচ (প্রথম বছর)

খরচের ধরনআনুমানিক পরিমাণ (BDT)

টিউশন ফি: ১১ – ২১ লাখ

জীবনযাত্রা (প্রমাণ করতে হবে): ~১৭ – ১৮ লাখ

ভিসা ও অন্যান্য: ~১ – ২ লাখ

মোট=২৯ – ৪১ লাখ টাকা


গুরুত্বপূর্ণ:

আবেদন করার সময় ব্যাংক স্টেটমেন্টে বা GIC-তে টাকা প্রমাণ দেখাতে হবে।

কানাডায় গিয়ে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা পার্ট-টাইম কাজ করে কিছু খরচ চালানো যায়, তবে শুরুতে সব খরচ বাংলাদেশ থেকেই কভার করতে হবে।



২০২৫ সালের সবচেয়ে কম খরচে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া যায় যেসব দেশে

1. জার্মানি (Germany) 🇩🇪

টিউশন ফি: প্রায় শূন্য (সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই, শুধু সেমিস্টার ফি €250–€350 = ৩০–৩৫ হাজার টাকা)।

লিভিং কস্ট: €9,000 – €11,000 / বছর (ব্লকড অ্যাকাউন্টে জমা রাখতে হবে)।


সুবিধা:

ইউরোপে পড়াশোনা শেষে ওয়ার্ক ভিসা/PR-এর সুযোগ।

সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজের অনুমতি।

শর্ত: জার্মান ভাষা জানা থাকলে আরও ভালো সুযোগ, তবে ইংরেজি কোর্সও আছে।


2. নরওয়ে (Norway) 🇳🇴

টিউশন ফি: সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই (ফ্রি এডুকেশন)।

লিভিং কস্ট: NOK 139,000 (~১২–১৩ লাখ টাকা) প্রমাণ দেখাতে হয়।

সুবিধা: উচ্চমানের শিক্ষা, PR-এর পথ, ইংরেজি প্রোগ্রাম রয়েছে।

শর্ত: ভর্তি পাওয়া কিছুটা প্রতিযোগিতামূলক।


3. ফ্রান্স (France) 🇫🇷

টিউশন ফি: সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে €2,770 – €3,770 / বছর (প্রায় ৩–৪ লাখ টাকা)।

লিভিং কস্ট: €7,000 – €9,000 / বছর।

সুবিধা: ইংরেজি বা ফরাসি দুই ভাষায়ই পড়াশোনা সম্ভব, সস্তা টিউশন, EU ওয়ার্ক ভিসা সুযোগ।


4. তুরস্ক (Turkey) 🇹🇷

টিউশন ফি: $500 – $4,000 / বছর (প্রায় ৫০ হাজার – ৪ লাখ টাকা)।

লিভিং কস্ট: মাসে ৩০–৪০ হাজার টাকা।

সুবিধা: সস্তা জীবনযাত্রা, মুসলিম-বান্ধব পরিবেশ, পার্ট-টাইম কাজের সুযোগ।


5. পোল্যান্ড (Poland) 🇵🇱

টিউশন ফি: €2,000 – €4,000 / বছর (প্রায় ২–৪ লাখ টাকা)।

লিভিং কস্ট: মাসে €400 – €600।

সুবিধা: EU-এর মধ্যে সস্তা, পড়াশোনা শেষে EU ওয়ার্ক ভিসা।


6. মালয়েশিয়া (Malaysia) 🇲🇾

টিউশন ফি: $2,500 – $5,000 / বছর (প্রায় ২.৫ – ৫ লাখ টাকা)।

লিভিং কস্ট: মাসে ২০–৩০ হাজার টাকা।

সুবিধা: কাছাকাছি দেশ, খরচ কম, মুসলিম-বান্ধব, ইংরেজি ভাষায় পড়াশোনা।


যোগ্যতা

আপনার Bachelor of Science ডিগ্রি থাকলে আপনি মূলত মাস্টার্স প্রোগ্রামে যোগ্য।

কিন্তু আপনার পড়াশোনার ফিল্ড এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামের প্রয়োজনীয় প্রি-রেকুইজিটস মিলতে হবে।

উদাহরণ: BSc কম্পিউটার সায়েন্স হলে MSc Computer Science বা IT এ ভর্তি সুবিধা সহজ।

যদি অন্য ফিল্ডের মাস্টার্স নিতে চান, প্রি-রেকুইজিটস পূরণ করতে হতে পারে (কিছু কোর্স বা bridge course)।


বছর ফাঁক থাকা সমস্যা (Gap Year)

আপনার ব্যাচেলর 2016 সালে শেষ হয়েছে, তাই প্রায় ৭ বছরের গ্যাপ আছে।


বেশিরভাগ দেশ এখন গ্যাপ ইস্যু করে না, যদি:

আপনি পেশাগত অভিজ্ঞতা দেখাতে পারেন, অথবা

একটি মোটিভেশন লেটার বা SOP-তে স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করেন কেন গ্যাপ ছিল।

জার্মানি, নরওয়ে, ফ্রান্স, মালয়েশিয়ার অনেক বিশ্ববিদ্যালয় গ্যাপ নিয়ে সমস্যা করে না।


ভিসার ক্ষেত্রে

স্টুডেন্ট ভিসার জন্য সর্বশেষ ডিগ্রি থেকে কয়েক বছরের গ্যাপ হলে চাকরির অভিজ্ঞতা দেখালে অনেক দেশ সুবিধা দেয়।

শুধুমাত্র পড়াশোনা ফাঁক থাকলেও, প্রমাণ করতে হবে যে আপনি ফাইনান্সিয়ালি সক্ষম (ব্যাংক স্টেটমেন্ট / GIC / স্কলারশিপ)।


পরামর্শ

আপনার ক্ষেত্রে গ্যাপ নেই বলেই ধরে নেওয়া যায় না, তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার আগে:

SOP বা Cover Letter প্রস্তুত করুন।

Resume / CV এ আপনার অভিজ্ঞতা বা কার্যক্রম দেখান।

প্রয়োজন হলে প্রি-রেকুইজিট কোর্স আগে করে নিন।